মিয়ানমারের সঙ্গে পতাকা বৈঠক কাল : বিজিবিপ্রধান
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারের মংডুতে আগামীকাল সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠক হতে পারে। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নাম এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে বিজিবিপ্রধান এসব কথা জানান।
মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘তারা আমাদের ভাইবারের মাধ্যমে ম্যাসেজ দিয়ে এবং সর্বশেষ তারা একটি লিখিত চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি আমাদের অভিহিত করেছে যে, নায়েক রাজ্জাককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেবে। এ জন্য তাদের লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নেতৃত্বে নয় থেকে ১০ জন সদস্য থাকবেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নায়েক রাজ্জাককে ফেরত আনার ব্যাপারে যে প্রতিনিধিদল যাবে তাদের তালিকা চেয়েছে। গতকাল রাতে আমরা তাদের ভাইবারের মাধ্যমে নামগুলো জানিয়েছি এবং আজ সকালে লোকমারফত আমাদের অফিশিয়াল চিঠিটি পৌঁছানো হয়েছে।’
বিজিবির মহাপরিচালক জানান, মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীর প্রস্তাবের পর বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নাম পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমারের পক্ষে সে দেশের নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল থি হান।
বিজিবিপ্রধান আশা করেন, পতাকা বৈঠকের পর রাজ্জাককে ফেরত দেওয়া হতে পারে। নায়েক রাজ্জাক ভালো আছেন বলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বলে বিজিবিপ্রধান জানান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তারা সিভিল ড্রেসে ছিল। একপর্যায়ে বৈঠা দিয়ে ওইখানে মারামারি হয়েছে। কিছুটা হাতাহাতিও হয়েছে। গোলাগুলি তো হয়েছে, হাতাহাতিও হয়েছে। আসলে কীভাবে ব্লিডিং হলো তাকে না পাওয়া পর্যন্ত, তার মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।’
আজিজ আহমেদ আরো জানান, ঘটনার পরপর বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। তবে নায়েক রাজ্জাকের ওপর কোনো রকম শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে। নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দিতে কোনো শর্ত নেই বলে তিনি জানান।
গত ১৭ জুন টেকনাফের নাফ নদীতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় বিজিপি গুলি ছোড়ে। এতে বিপ্লব নামে এক বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। বিজিপি নায়েক আবদুর রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় রাজ্জাককে ফিরে পেতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।