বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জামিল হত্যার প্রতিবাদে নবীগঞ্জে বিক্ষোভ
সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র জামিল আহমদের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেল বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ নিহত জামিলের ছবিসম্বলিত প্রচারপত্র, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মডেল বাজার আলহেরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহসভাপতি হাজী আবদুর রব। মাওলানা মশাহিদ আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবীগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি মহিবুর রহমান হারুন, মৌলভীবাজার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু, বৈঠাখাল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম, নিহত জামিল আহমদের বাবা মাওলানা মোস্তফা আহমদ, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, ই্উনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাহেল আহমদ, নিহত জামিলের ভগ্নিপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শাহ শাহজন মিয়া, যুক্তরাজ্য ওল্ডহাম শাখা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেধাবী ছাত্র জামিলকে যেভাবে খুন করা হয়েছে এটা খুব হৃদয়বিদারক ঘটনা। এক মাস হয়ে গেল এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রশাসন যদি সঠিক বিচার না করে তাহলে এ রকম হত্যাকাণ্ড আরো ঘটবে। তারা দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দাবি করেন প্রশাসনের কাছে।
গত ১ এপ্রিল গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা মাওলানা মোস্তফা আহমদের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী সালেহা আক্তার চিৎকার করলে ছেলে সিলেট লিডিং ইউনির্ভাসিটির স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জামিল আহমদ, মওদুদ আহমদ, মাসুদ আহমদ এগিয়ে গেলে তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করে। বাবাকে রক্ষা করতে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে জামিলের পাল্টাপাল্টি লড়াই চলে। দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামিলকে এলোপাতাড়ি কোপায়। একপর্যায়ে জামিল দুর্বৃত্তদের মুখোশ টেনে খুলে ফেলায় তাঁকে বাড়ির উঠানে নিয়ে পেটায়। একপর্যায়ে জামিলকে মৃত ভেবে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
মা ও বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত দুই ভাই এখনো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার না করায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে।