ঠিকাদারদের দাবি

বাঁধ ভেঙে নয়, ঢলে ডুবেছে হাওর

Looks like you've blocked notifications!
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন পাউবোর ১৭ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছবি : এনটিভি

বাঁধ ভেঙে নয়, বরং ভারি বর্ষণ, অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণেই হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঠিকাদাররা। 
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে পাউবোর ১৭ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ সময় তারা কাজের বিলও দাবি করে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালতি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিপ্রেশ রায় বাপ্পু। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঠিকাদার আবুল মনসুর শওকত, ভজন তালুকদার, এ কে এম মহিম প্রমুখ।

হাওরে ফসলহানির ক্ষেত্রে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি আর পাউবোর গাফিলতি দায়ী বলে অভিযোগ করে আসছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হাওর সফরে গিয়ে বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরই ঘটনা তদন্তের জন্য পাউবোর কয়েকজন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনেও। এ অবস্থার মধ্যেই আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন ঠিকাদাররা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বাঁধ ভেঙে নয়, সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ, অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতেই বাঁধ উপচে ফসলহানি হয়েছে। বাঁধ সঠিক সময়েই নির্মাণ করেছি আমরা, এখনো কাজের বিল পাইনি। গুটিকয়েক ঠিকাদারদের দায় আমরা সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেন নেব?’

‘চৈত্র মাসেই অতিবৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এবার যে ফসলহানি হয়েছে, তার জন্য ঢালাওভাবে সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে আমরা যাঁরা সম্পূর্ণ কাজ করেছি, তাঁদের বিলও আটকে রাখা হয়েছে’, যোগ করেন ঠিকাদাররা। 

সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা তাঁদের কাজের বিল পরিশোধের দাবি জানান এবং যেসব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হবে, তাঁদেরও বিচার দাবি জানান তাঁরা।