যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটিই কমেছে

Looks like you've blocked notifications!

গতবারের চেয়ে এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ ৫-এর সংখ্যা কমেছে। এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। যেখানে গত বছর পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৪৬০ জন। গত বছর এ বোর্ড থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছিল নয় হাজার ৪৪৪ জন।

এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দুই হাজার ৫০৩টি বিদ্যালয় থেকে এক লাখ ৫৫ হাজার ৪৫১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৫ জন।

বোর্ডের দৃষ্টিতে পাসের হার কমার কারণ

খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নম্বর প্রদানের বাধ্যবাধকতার কারণে শুধু যশোর নয়, সারা দেশেই এবার এসএসসির পাসের হার কমেছে। তা ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত পরীক্ষার এমসিকিউ-এর দুর্বোধ্যতার কারণে অনেকে পাস করলেও ভালো ফল হয়নি। এসব কারণেই গতবারের চেয়ে এবার ফলাফল খারাপ হয়েছে বলে দাবি করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এসএসসির ফলাফল ঘোষণা ও মূল্যায়নকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, নির্দিষ্ট মানের উত্তরে নির্দিষ্ট নম্বর প্রদানের উত্তম পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নে এবার পরীক্ষকদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, এরপরও ফলাফল ভালো হয়েছে। কেননা বোর্ড কর্মকর্তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পড়াশোনার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। তাদের ভালোভাবে বই পড়তে এবং পড়াতে নির্দেশনা দেন।

মেয়েদের পাসের হার বেশির কারণ হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, বর্তমান সরকারের নারী শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, পাসের হার কমলেও পড়াশোনার গুণগতমান কিছুটা বেড়েছে। আর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে ছেলেমেয়েরা একটু খারাপ করেছে। তবে ফেল করার মতো প্রশ্ন হয়নি। হয়তো ৮০-এর বেশি নম্বর ওঠানো কষ্টকর হয়েছে। এমসিকিউতে আশা করা হয় ২২ থেকে ২৩ নম্বর। কিন্তু এবার তা খুব কম হয়েছে।

বিভিন্ন বোর্ডের শিক্ষার্থীদের মান যাচাইয়ে একক প্রশ্নের প্রতি জোর দিয়ে মাধবচন্দ্র রুদ্র শিক্ষার মান, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধ সম্ভব বলে মনে করেন।

দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি

এবার যশোর বোর্ডে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি। স্কুল দুটি হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার আব্দুল আজিজ সেকেন্ডারি স্কুল ও সাতক্ষীরার তালা উদয়ন স্কুল। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে যথাক্রমে পাঁচ ও চারজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

এ ছাড়া বোর্ডের অধীনে এবার ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি, সে দুটির স্বীকৃতি বাতিল এবং এমপিওর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র।