ভবিষ্যতে আ. লীগের পলায়ন দিবস পালন হবে : আব্বাস

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আজ যাঁরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা হত্যা গুম খুন করছেন তাঁরা তৈরি থাকুন। ক্ষমতার পালাবদলের পর এ সবকিছুর বিচার হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেবল দায়ী কর্মকর্তারাই নয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও রেহাই পাবে না। ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে যে এ দেশে অন্যান্য দিবসের মতো আওয়ামী লীগের পলায়ন দিবসও পালন করা হবে।’

আজ শুক্রবার রাতে নগরীর অশ্বিনীকুমার টাউন হলে বরিশাল মহানগর বিএনপির কর্মিসভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জেলখানা এখন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করে বিএনপিকে দমন করতে হলে সবার আগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দমন করতে হবে। আর সে জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখতে চাইছে। এসবের মাধ্যমে এই দুই কালজয়ী নেতাকে রাজনীতি তথা জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চাইছে। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশ বিক্রির প্রায় পুরোটাই তারা সম্পন্ন করেছে। তাদের আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।’

দেশব্যাপী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, বরিশালের সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল আলম নান্নু, বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি যথাক্রমে মেসবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও এবায়েদুল হক চান, উভয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আকন কুদ্দুসুর রহমান ও আবুল কালাম শাহিন এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠান চলার সময় সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের বক্তৃতার সময় তাঁকে বারবার বাধা দেন স্থানীয় বিএনপির সরোয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে সিটি মেয়র পদে টিকে থাকার অভিযোগ এনে এই বাধা দেন তাঁরা।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সাইয়েদ আহমেদ মধু জানান, এক নেতার দুই পদে থাকতে না পারার নতুন সাংগঠনিক নিয়মে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সরোয়ারের মহানগর সভাপতি পদে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কেননা সিটি মেয়র কামাল মহানগর বিএনপির সভাপতি পদের একজন প্রার্থী।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকালে বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি এবং বিকেলে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সভায় উপস্থিত থাকবেন মির্জা আব্বাস।