‘টাওয়ারটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি ছিল না’

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরবের কালিপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিধ্বস্ত টাওয়ারটি পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহাম্মদ কায়কাওয়াস। ছবি : এনটিভি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহাম্মদ কায়কাওয়াস বলেছেন, ‘টাওয়ারটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি ছিল না।’ তিনি জানান, ঝড়ে বিধ্বস্ত আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ভৈরবের টাওয়ারটির মেরামতকাজ চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।

আজ শুক্রবার ভৈরবের কালিপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিধ্বস্ত টাওয়ারটি পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহাম্মদ কায়কাওয়াস এ কথা বলেন। তিনি জানান, কোরিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ারটি মেরামতের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিধ্বস্ত টাওয়ারটি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আহাম্মদ কায়কাওয়াস বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের এই সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারগুলো দেশের সাধারণ ঝড়-তুফানকে হিসেবে রেখে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডোর গতিবেগ কী হবে, সেটা তো আগে থেকে নিরূপণ করা যায় না। টাওয়ারটি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট কারো কিছুই করার ছিল না।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বিরুণী বলেন, ‘বর্ষাকালের জন্য এই টাওয়ার মেরামতকাজের কোনো অসুবিধা হবে না।’ তিনি জানান, টাওয়ার মেরামতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘোড়াশাল-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইন দিয়ে ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে করে কিছুটা লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি ভোগ করতে হবে ওই সব এলাকার গ্রাহকদের।

এ সময় পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী দেবাশিষ দাস, আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (এপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান, ভৈরব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ, বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলামসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১ মে সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরবসহ আশপাশের এলাকা দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যায়। এ সময় আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ভৈরবে অবস্থিত একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়। এতে করে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পরে বিকল্প গ্রিডলাইন ব্যবহার করে ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও ভৈরবে বিধ্বস্ত টাওয়ারটির মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে না বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।