কাজী রিয়াজুল হক বললেন

দুই ছাত্রী ধর্ষণের আসামিরা গুলশান-বনানীতেই আছে

Looks like you've blocked notifications!
খুলনা জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর বনানীতে হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের আসামিরা গুলশান বা বনানীতেই আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। আসামিদের ধরতে পুলিশের গাফিলতি আছে বলেও মনে করেন তিনি।  

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় খুলনা জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে এসব কথা বলেন রিয়াজুল হক। মানবাধিকার কমিশন ও ওয়ার্ল্ডভিশনের যৌথ উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নে বিভাগীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

কাজী রিয়াজুল বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে, তাদের (আসামিদের) আমরা ধরতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে, ওই অপরাধীরা গুলশান-বনানী এলাকাতেই আছে। কারণ তারা গুলশানের সন্তান। এখনো যদি পুলিশ চেষ্টা করে, আমি মনে করি, পুলিশ তাদের ধরতে পারে। এখানে পুলিশের একটা প্রচণ্ড গাফিলতি আমরা লক্ষ করেছি, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ করেছি এবং পুলিশের নামে বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি।’

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বনানীর মতো একটা অভিজাত এলাকায়, যেখানে প্রচুর লোকের সমাগম সব সময় থাকে। জনবসতি এলাকাতে এ রকম একটা ঘটনা ঘটল। আমরা জানি যে সেখানে পুলিশের বিভিন্ন সোর্স থাকে। এই ঘটনাটা ঘটল একটা অভিজাত চারতারকা হোটেলে। প্রত্যেকটা বড় হোটেলে পুলিশের লোকরা থাকে, কারা এখানে আসছে, কে আসছে, না আসছে পুলিশের কতগুলো দায়িত্ব রয়েছে।’

কাজী রিয়াজুল বলেন, ‘এ রকম একটা ঘটনা ঘটল সেই মার্চ মাসের ২৮ তারিখে। আর এই এক মাস-দেড় মাস পরে পুলিশ ঘটনাটি জানলই না, তারা কিছু করতেই পারল না। তাহলে পুলিশের প্রয়োজনটা কী জন্য? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’

কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে তাঁদের (ধর্ষণের অভিযোগ করা দুই ছাত্রী) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, আমাদের অফিস থেকে ভিকটিমদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তাতে আমরা যেসমস্ত তথ্য পেয়েছি, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যেটা জেনেছি, ৪ তারিখ (মে) থেকে ৬ তারিখ দুদিন লেগেছে তাঁদের মামলাটা পুলিশের গ্রহণ করতে। তাঁদের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা বিভিন্ন টালবাহানা করা হয়েছে। এটা কোনোক্রমে সহ্য করার ঘটনা না।’

বিচার না পেয়ে গাজীপুরে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায়ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মানবাধিকার চেয়ারম্যান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, বুলি হালিত ডল, জেমস গোমেজ প্রমুখ।