‘ভাঙচুর করে’ কারাগারে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে

Looks like you've blocked notifications!

ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীকে। আজ শুক্রবার পাবনার আমলি আদালত ২-এ ওই ১১ জনকে হাজির করা হয়।

পাবনার আমলি আদালত ২-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ওই ১১ জনকেই পাবনা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শুক্রবার ভোরে শিরহান শরীফসহ ওই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শামসুর রহমান শরীফ ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। আদালত পরিদর্শক শামসুল আলম জানান, কারাগারে পাঠানো অন্য ১০ জন হচ্ছেন ঈশ্বরদী শহরের মধ্য অরণকোলা গ্রামের মাসুম আহমেদ (২৫), ইস্তা গ্রামের সাইফুদ্দিন (২২), শেরশাহ রোডের সবিরুল ইসলাম (২৩), মেহেদী হাসান (২৭), দুই ভাই মাহবুব হাসান (২৯) ও প্রিন্স ইসলাম (২৬), জাফর ইকবাল (২৬), পূর্বটেংরী এলাকার রনি ইসলাম (২৩), নূর মহল্লার জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬) ও আমিনপাড়ার মোহাম্মদ বিন ফাহাদ (২৭)।

গ্রেপ্তারের পর ওই ১১ জনকে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী বলে জানা যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সঙ্গে তাঁর জামাই ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সরকারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল ঈশ্বরদী পৌর সদরে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় মিন্টুর মিষ্টির দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়।

একই সময়ে হামলাকারীরা মিন্টু সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে জুবায়েরের মা আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার জানান, হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার বিশ্বাস বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমালকে প্রথম ও যুবলীগ নেতা রাজীব সরকারকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।

ওসি আবদুল হাই আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযানে নামে ঈশ্বরদী ও পাবনা পুলিশের ডিবির একটি যৌথ দল। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তমালসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অন্যতম আসামি রাজীব সরকারের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।