সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ বৈধ হলো বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।
আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে নেওয়া সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব। ’
অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশিদের সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিলের জন্য খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছিলেন। আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। এতে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া সাক্ষ্য গ্রহণ বৈধ বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি শেষে আজ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
গত ২৫ মে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে ছয় কার্যদিবসে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে নেওয়া সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিলের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত এ আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, ১ ডিসেম্বর, ৮ ডিসেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর এবং এ বছরের ৭ ও ১৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।