নির্বাচনি সহিংসতা : আ.লীগের আরো একজন নিহত

Looks like you've blocked notifications!

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুজনে।

নিহত ব্যক্তির নাম বদরুল ইসলাম (৫১)। তিনি পেড়লী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বদরুলকে পেড়লী এলাকায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত বদরুলের ভাইয়ের ছেলে পেড়লী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাঁর চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৩ মে অনুষ্ঠিত পেড়লী ইউপি নির্বাচনে পেড়লী গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বাবু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষে কাজ করেন। গ্রামের অন্য একটি পক্ষের নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জারজিদ মোল্লার পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জারজিদ মোল্লা জয়ী হন এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন হেরে যান।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে দুই পক্ষ ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সাবেক ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন (৪৬) নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত বদরুল ইসলাম আজ মারা গেলেন। 

বদরুলের মৃত্যুর বিষয়টি তাঁর ভাইয়ের ছেলে আনিসুল ইসলামের কাছে শুনেছেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া।