চোরাকারবারিদের হামলার পর বিজিবির গুলি, নিহত ২
দিনাজপুরের বিরামপুর রেল স্টেশনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে চোরাকারবারিরা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি চালালে এক হোটেল মালিক ও তাঁর কর্মচারী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন দুজনের লাশ নিয়ে রেলপথ ও রাজপথ অবরোধ করে রেখেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বজগন্নাথপুরের শুকুর আলীর ছেলে শাহিন (২৫) ও আব্দুর রশিদের ছেলে সুলতান (২২)। বিরামপুর রেলস্টেশনে শাহিনের হোটেল আছে। সুলতান সেই হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে সৈয়দপুরগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিরামপুর রেল স্টেশনে এসে থামে। এ সময় কিছু চোরাকারবারি ওই ট্রেনে ভারতীয় মালামাল তুলতে গেলে বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন এবং কিছু পণ্য আটক করেন।
ট্রেনটি যথাসময়ে সৈয়দপুরের দিকে চলে গেলে চোরাকারবারিরা বিজিবির কাছ থেকে আটক পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি ও চোরা কারবারিদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবির উপর চড়াও হয়। তখন বিজিবি সদস্যরা গুলি চালায়। এ সময় রেল স্টেশনের পশ্চিমপাশে দাঁড়িয়ে থাকা হোটেল মালিক শাহিন ও কর্মচারী সুলতান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসী সন্ধ্যা ৬টা থেকে বগুড়া-দিনাজপুর সড়ক ও রেললাইনের ওপর গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে। বর্তমানে রাজশাহীগামী আন্তনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেল স্টেশনে আটকে আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোরবান আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের বিজিবির লোকজন চোরাকারবারিদের কাছ থেকে আজ কিছু কাপড় জব্দ করেন। পরে সেই সব কাপড় বিজিবির গাড়িতে করে আনার সময় চোরকারবারিরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। চোরাকারবারিদের কিল-ঘুষিতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে হামলার চালানোর চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে ১৩টি গুলি ছুড়ে। আহত দুই বিজিবি সদস্যকে জয়পুরহাট বিজিবি ব্যাটালিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’