ধেয়ে আসছে ‘মোরা’

সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলের মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা।

সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে দমকা হাওয়া, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ জন্য উপকূলীয় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় অধিবাসীদের তাঁদের গবাদিপশুসহ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় সরকারের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বাগেরহাট ও খুলনা জেলার কিছু অংশে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। ওই এলাকাগুলোতে প্রস্তুত আছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ৯৫৪০৪৫৪, ৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬, ০৭১৫১৮০১৯২, ০১৯১১৩৮৭৭২৩ নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করা যাবে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী উদ্ধার কাজের জন্য সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত সচিব। এখন থেকেই ওই সব এলাকার অধিবাসীদের বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে যেন প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে পারেন।