অভিজিৎ হত্যা নিয়ে বিবিসিকে বন্যা

আমার ধারণা, সরকার অনেক কিছু জানে

Looks like you've blocked notifications!
রাফিদা আহমেদ বন্যা। ফাইল ছবি

দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে নিহত লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার রহস্য উদঘাটনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার লন্ডনে বিবিসি বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্যা এ প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, অভিজিৎ রায় নিহত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।  

অভিজিতের স্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, বাংলাদেশ সরকার কতটা আন্তরিক। আমার ধারণা, তারা (সরকার) অনেক কিছুই জানে। না জানার কথা না তো।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান বন্যা। বাংলাদেশে তদন্তের ব্যাপারে এফবিআইয়ের কিছু করার নেই বলেও বন্যাকে জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলেছে, এফবিআই শুধু তদন্তে সহযোগিতা করতে পারে।

বিবিসি বাংলাকে বন্যা বলেন, কেবল কয়েকজন ব্যক্তি নয়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বড় কোনো আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত বলে তিনি ধারণা করছেন। এ ঘটনায় বড় একটি চক্র জড়িত ধারণা করে বন্যা জানান, এসব বিষয়ের গভীরে সরকার তদন্ত করতে চায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে তাঁর।

অভিজিৎ রায় হত্যার তদন্তের অগ্রগতি বা ধরন দেখে বিবিসি বাংলার কাছে হতাশা প্রকাশ করেন বন্যা। তবে এতে তিনি অবাক নন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমি সন্তুষ্ট না। আমি এতে অবাক হই না। কারণ, এটাই হওয়ার কথা ছিল।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘাতকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। এ ঘটনার পর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর স্ত্রী বন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বন্যাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায় দেশটির সরকার। বন্যা ও অভিজিৎ দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।