কীর্তনখোলায় ভাঙন, দোকানপাট বিলীন
বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে চরকাউয়া বাজারের অন্তত ২০টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু দোকান, বাসস্ট্যান্ড, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ বসতঘর।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান।
চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানির চাপ বাড়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও ভাঙনের সৃষ্টি হয়ছে। বেশ কিছু দোকানপাট নদীগর্ভে চলে গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি।
ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে দোকানিরা কিছু বুঝে উঠার আগেই একের পর এক দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চরকাউয়া বাজারে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মো. লাবু, ইদ্রিস হোসেন, মো. রাজীব, মো. কাসেম, মো. সাইফুল, কাওসার মিয়া, মো. নূরুজ্জামান, আইয়ুব আলী, রাজ্জাক মজুমদার, হায়দার মজুমদার, আ. রশীদ মিয়া, আ. হান্নান মিয়া, মো. সেলিম, মো. রিয়াজ, সুলতান মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মো. শাহিন, তৈয়ব আলী, মো. সামেদ এবং নূরুল ইসলামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর দাবি, অব্যাহত ভাঙনে গত দুই দিনে ২০টি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আতঙ্কে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাজারের অর্ধশত দোকানঘর।