প্রেম প্রত্যাখ্যান, তরুণীকে পিটিয়ে হাসপাতালে!

Looks like you've blocked notifications!

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার এক তরুণী (১৮)। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় রাজাপুর থানায় ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাইনুল ইসলাম নামের এক তরুণের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাপুর থানার সামনের একটি কম্পিউটারের দোকানে ওই তরুণী বিএ কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে যান। এ সময় তাঁর পিছু নিয়ে মাইনুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা ওই দোকানে যান। অনলাইনে আবেদন করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁরা তরুণীকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণের চেষ্টা করেন। রাস্তায় লোকজন দেখে বাঁচাও বলে চিৎকার করেন ওই তরুণী। একপর্যায়ে বাইপাস এলাকায় তরুণীকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাঁরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে তাঁর মুখমণ্ডলে রক্ত জমে যায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ধাওয়া করলে মোটরসাইকেলে তাঁরা পালিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় ওই তরুণীকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ওই তরুণী বলেন, ‘আমি এ বছর এইচএসসি পাস করেছি। দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে আসা-যাওয়ার সময় মাইনুল ইসলাম আমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিভিন্ন সময় আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি বখাটে মাইনুল ও তার সহযোগীদের বিচার চাই।’

ওই তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বখাটে মাইনুল। মাইনুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা করি পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার আসামি মাইনুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। মাইনুলের সহযোগীদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে সে থানায় এসে মামলা করেছে। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। তাকে নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’