জামিন ঠেকাতে এসে বাদী নিজেই শ্রীঘরে

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

বাদী মো. আহাদ মিয়া আদালতে গিয়েছিলেন তাঁর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামির জামিন ঠেকাতে। শুনানি শেষে বিচারক আসামি আবদুস সাদেককে জামিন দিয়ে উল্টো বাদীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এই ঘটনা ঘটে।

আসামি আবদুস সাদেকের পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান জানান, মামলার বাদী নিজেই আবদুস সাদেকের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহতসহ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দেড় বছর আগে করা অন্য আরেক মামলার পলাতক আসামি। সম্প্রতি ওই মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েই আহাদ মিয়া প্রকাশ্যে চলাফেরা করে আসছিলেন। এ পর্যায়ে গতকাল রোববার আহাদ মিয়া ভৈরব থানায় গিয়ে আবদুস সাদেককে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে তাঁর ওপর হামলাসহ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আবদুস সাদেককে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে হাজির করে।

আইনজীবী জানান, আজ আবদুস সাদেকের জামিন শুনানি চলাকালে বাদী মো. আহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিচারককে জানানো হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বাদী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আলাউল হক বাদী মো. আহাদ মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আসামি আবদুস সাদেকের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আবদুস সাদেক ও মো. আহাদ মিয়ার বাড়ি ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামে। আবদুস সাদেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও মো. আহাদ মিয়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা হওয়ায় রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের মধ্যে এই বিরোধের সূচনা বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

আবদুস সাদেকের ছেলে ইয়াছিন আহমেদ পাপ্পু বলেন, ‘গত বছরের প্রথম দিকে আহাদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার বাবার ওপর  হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আহাদ মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করি। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক হওয়ায় আহাদ মিয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েই প্রকাশ্যে চলাফেরা করতেন। আমার ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধ অসুস্থ বাবাকে হয়রানি করতেই মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে।’