রাতে স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি, পোশাকশ্রমিককে গণধর্ষণ!

Looks like you've blocked notifications!

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার চরে নিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করেছেন স্পিডবোট চালক ও তাঁর সহকারী। এই অভিযোগ এনে আজ সোমবার দুপুরে ওই শ্রমিক লৌহজং থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই স্পিডবোট জব্দ করেছে।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, পোশাকশ্রমিক ওই তরুণী রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁর স্বামীর বাড়ি বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরিতে করে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আসার জন্য রাত ১২টা নাগাদ তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছান। ফেরি দেরি করায় ওই পোশাকশ্রমিকসহ আরো কয়েকজন কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে উঠে পদ্মা পাড়ি দেন। স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা তাঁদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে নেমে যান। কিন্তু ৫০০ টাকার নোট ভাংতি নেই দাবি করে তাঁকে আটকে রাখেন স্পিডবোটচালক রাজীব কোম্পানি ও তাঁর সহকারী মিঠু শিকদার। অন্য যাত্রীরা নেমে দূরে চলে গেলে স্পিডবোটচালক সেটিকে ঘুরিয়ে পোশাকশ্রমিককে নিয়ে পদ্মার চরে যান। সেখানে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মেরে চরে নামিয়ে ধর্ষণ করেন তাঁরা।

এরপর রাত আড়াইটার দিকে পোশাকশ্রমিককে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে ঘাটে স্পিডবোট রেখে পালিয়ে যান রাজীব ও মিঠু। এক রিকশাচালক পোশাকশ্রমিককে অসুস্থ অবস্থায় লৌহজং থানায় নিয়ে যান। লৌহজং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদা রঙের ওই স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাট থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় লৌহজং থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা দুই আসামিকে শনাক্ত করেছি। তাঁরা হলেন লৌহজংয়ের কুমারভোগ ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামের রাজীব কোম্পানি ও মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের মিঠু শিকদার। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালিয়েছি। আলামত হিসেবে পুলিশ স্পিডবোট জব্দ করেছে। ঘাট ইজারাদার আশরাফকে বোটচালককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই পোশাকশ্রমিককে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।