খাগড়াছড়িতে আরো ৫ গ্রাম প্লাবিত

Looks like you've blocked notifications!
পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ছবি : এনটিভি

পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তবে গতকাল বৃষ্টি না হওয়ায় জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।

খাগড়াছড়ির ছোটমেরুং বাজার ও আশপাশের সড়কে পানি ওঠায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজাছড়া, সোবাহানপুর, চিটাগাংগ্যাপাড়া ও ছদকছড়া এলাকার বেশকিছু গ্রাম।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০টির মতো পরিবার চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

তবে বৃষ্টি না হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মেহেদীবাগ, নারায়ণ মন্দিরের পাশের নিচু এলাকাসহ পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার পানি নেমে গেছে।

সকালে খাগড়াছড়ি পৌরশহরের মুসলিমপাড়া, সবজিবাজার, মেহেদীবাগ, গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর লোকজন বাড়িতে ফিরে গেছেন।

মুসলিমপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া অনেকেই বাড়িতে ফিরে গেছেন। পাহাড়ি ঢলের কাদা-ময়লায় চারদিক একাকার। অনেকে কাদা-ময়লা, জঞ্জাল পরিষ্কার করে নতুন করে জীবনসংগ্রাম শুরু করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক মানুষ। পাহাড়ি ঢলে বহু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শাকসবজিসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সদর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। সাড়ে ৭০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।