২ বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

Looks like you've blocked notifications!

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোসালপুর সীমান্তের ওপারে কুমারীপাড়ায় গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। লাশ ফেরত চেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পাঠানো পতাকা বৈঠকের ব্যাপারেও কোনো সাড়া দেয়নি ভারতীয় বাহিনী।

গতকাল মঙ্গলবার নিহতরা হলেন উপজেলার খোসালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (১৯) এবং উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের কাওসার আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ (৩০)।

আজ বুধবার দুপুরে খোসালপুর বিজিবি বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আবু তাহের জানান, গতকাল এক দফায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে চিঠি দেওয়া হলে বিএসএফ সেটি গ্রহণ করেনি। আজ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়কের পক্ষ থেকে ফের ভারতীয় বিএসএফের নবম ব্যাটালিয়ান কমান্ডারকে লাশ ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএসএফ ওই চিঠির উত্তর দেয়নি।

মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান খোসালপুর সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন বলেও জানান আবু তাহের।

বিজিবি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পতাকা বৈঠকের পরই এ ব্যাপারে সবকিছু জানানো হবে।

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদুল কবীর বলেন, বিজিবির অনুরোধে লাশ গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পতাকা বৈঠক কখন হবে তা জানা নেই বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নেপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামছুল হক মৃধা জানান, গতকাল সকালে গরু আনার জন্য কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে যায়। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে বিএসএফ তাদের তাড়া করে। এ সময় গ্রামবাসী চারটি গুলির শব্দ শুনেছে। গুলিতে রানা ও রশিদ মারা যান বলে ফিরে আসা অন্যরা জানিয়েছেন। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে যায় বলেও জানায় তারা। 

আজ দুপুরে সীমান্তের কাছের একটি গ্রামের বাসিন্দা মশিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে মোবাইল ফোনে জানান, গতকালের মতো আজও কাউকে সীমান্তের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।