খাগড়াছড়িতে আনসার সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
খাগড়াছড়িতে আনসারের নায়েক আমির হোসেনকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আনসার সদস্য রফিকুল ইসলাম।
আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে বিচারিক হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে রফিকুল ইসলামকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের হেফাজতে নেওয়ার (রিমান্ড) আবেদন করে পুলিশ। রফিকুল এ সময় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে বিচারক রিমান্ডের আবেদন না মঞ্জুর করে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি নেওয়া শেষে রফিকুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীঘিনালা থানার উপপরিদর্শক ফজলুল আলম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন টিটু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে এর আগে দুপুর ১টায় খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির হোসেনকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন রফিকুল।
গত ৩ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের চৌধুরীটিলা আনসার ক্যাম্পে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আনসারের নায়েক আমির হোসেন। হত্যার পর পরই রফিকুল ইসলাম নিজ অস্ত্র ও ৮৪টি গুলিসহ পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্প সংলগ্ন জঙ্গল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একই উপজেলার চোংরাছড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।