সিসিটিভিতে দেখে ছাত্রী উত্ত্যক্তকারী আটক, কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
বখাটে সুজন শিকদারকে (ডানে লাল শার্ট পরা) নিয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওর দপ্তরে নিয়ে যাচ্ছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি : এনটিভি

ঝালকাঠিতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসিটিভি) দেখে তিন স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজা পাওয়া যুবকের নাম সুজন শিকদার (২২)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তিন স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন সুজন।

শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হয়। জেলা পুলিশ শহরে ৫০টি ক্যামেরার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। এরই মধ্যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সুফল পেতে শুরু করেছে পুলিশ।

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় এই ঘটনাটি দেখেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশ ধাওয়া করে সুজন শিকদারকে। তিনি অটোরিকশাচালক। সুজন সদর উপজেলার আগরবাড়ি গ্রামের আফতার আলী শিকদারের ছেলে। দুপুরেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মকবুল হোসেন তাঁকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

পুলিশ জানায়, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনের সড়কে তিন স্কুলছাত্রী দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় তিন যুবক এসে ওই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। স্কুলছাত্রীরা যুবকদের কথায় অস্বস্তিতে পড়ে। তারা এর প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পুরো ঘটনা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখে ফেলে পুলিশ। তাৎক্ষণিক ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণকক্ষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) কার্যালয় থেকে পুলিশ পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে যুব্করা। পুলিশ ধাওয়া করে সুজন শিকদারকে আটক করে। পালিয়ে যায় অন্য দুজন।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান বলেন, সিসিটিভিতে বখাটেদের ইভটিজিং করার দৃশ্য দেখে পুলিশ পাঠিয়ে একজনকে আটক করা হয়। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের সাজা দিয়েছেন।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঝালকাঠি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করেছি। ২৪ ঘণ্টা এই ক্যামেরার মাধ্যমে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা এরই মধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছি। ঈদকে সামনে রেখে শহরে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই কমেছে। সিসিটিভিতে কোথাও আপত্তিকর কিছু দেখা মাত্র পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা পুরো শহরটাকেই সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসতে চাই। এ জন্য কাজ চলছে।’