লংগদুতে একে-৪৭সহ যা যা মিলল

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটির লংগদুতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একে-৪৭সহ চারটি অত্যাধুনিক অস্ত্র, বিপুলসংখ্যক গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

রাঙামাটির লংগদুতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একে-৪৭সহ চারটি অত্যাধুনিক অস্ত্র, বিপুলসংখ্যক গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের আস্তানা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে লংগদু সদর ইউনিয়নের গোলাছড়ি নামক পাহাড়ি এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটক অস্ত্রগুলো পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বলে জানিয়েছে যৌথ বাহিনী।

উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি সাবেক যুগোস্লাভিয়ান রাইফেল ও একটি চায়নিজ রাইফেল। এ ছাড়া ১৫২টি তাজা গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি মোবাইল ফোন, চার জোড়া সামরিক পোশাকসহ বিপুল সরঞ্জাম ও ইউপিডিএফের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

সেনা কর্মকর্তারা জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোলাছড়ি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছিল এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। অভিযান শুরু হয় ভোররাত থেকে। এ সময় এলাকাটি ঘিরে ফেলেন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। কিন্তু তার আগে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

পরে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ওই সব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ সমর্থিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সেনাবাহিনীর লংগদু জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল আলীম চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানান সেনা কর্মকর্তারা।

এদিকে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, লংগদু সদর ইউনিয়নের গোলাছড়িতে কয়েক দিন ধরে ১৫-১৬ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অবস্থান করছিল। গোপন তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা মাইনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভোর ৪টার দিকে তাদের আস্তানা থেকে ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।