ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, সেহরির সময় হল ছাড়তে মাইকিং
ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জের ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ছেলেদের আজ বুধবার সকাল ৮টা এবং মেয়েদের সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাকির হোসেন হল ছাড়ার সময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
urgentPhoto
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই হল ছেড়ে চলে গেছেন। তবে সেহরির সময় আকস্মিক এ ঘোষণার পর তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
বাকৃবি ছাত্রলীগ ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ দুই পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত ৩টার দিকে প্রশাসন ক্যাম্পাসে মাইকিং করে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী, আজ ভোর থেকেই শিক্ষার্থীরা হলত্যাগ করে ক্যাম্পাস ছেড়েছে। আগামী ২৫ জুলাই ফের খুলবে।
বাকৃবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নিজেদের মধ্যকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ বিরোধের সূত্রপাত।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু বাকৃবির প্রথম ফটকে ইফতারের দাওয়াত খেতে এলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিমউদ্দিনের সমর্থকরা তাঁর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে কেওয়াটখালী ওয়াপদা মোড়ে জসিমউদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ওসি আরো জানান, হামলা চলাকালে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর সমর্থকরা। এ সময় এলাকাবাসী ও বাকৃবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। একটি পাইপগানসহ আহত বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কর্মী ওলিউর রহমান ওলি ও নূরে আলমকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
ওসি মো. কামরুল ইসলাম আরো জানান, এদের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ মুহূর্তে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।