প্রাণের ‘প্রাণ’ আর নেই
নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বাংলাদেশসহ এর নানা পণ্য আজ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে। সেই প্রাণের প্রাণ ও গ্রুপের প্রধান নির্বাহী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার একটি হাসপাতালে আজ বুধবার ইন্তেকাল করেছেন বিশিষ্ট এই শিল্পপতি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
urgentPhoto
আমজাদ খান চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দীর্ঘ দিন তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশন) কে এম জিয়াউল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ খান চৌধুরী। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এক মাস ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমজাদ খান চৌধুরী স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমজাদ খানের মরদেহ ঢাকায় সমাহিত করা হবে।
আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
আমজাদ খান চৌধুরী মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাকেন্দ্র আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রামের (ইউসেপ) প্রতিষ্ঠাতা তিনি।