গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
পানি বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত বুধবার থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপরে আছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত গাইবান্ধার কামারজানি ও ফুলছড়িতে পানিতে ডুবে দুই শিশু এবং সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে। এরেণ্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
অব্যাহত পানি বাড়ার কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে ৭০টি চরের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ। অনেক চরে বাড়িঘর অর্ধেক ডুবে যাওয়ায় সেখানকার মানুষ গবাদিপশু ও সহায়সম্বল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে জন্য উঁচু স্থান ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার কারণে এলাকার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর ভাঙনে ১৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিস আলী জানান, সরকারিভাবে এরই মধ্যে ৯০ টন চাল ও ছয় লাখ টাকা বিতরণসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা করা হয়েছে।
তবে এখনো অনেক এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।