হতাহতের ঘটনায় জাকাতদাতা ব্যবসায়ীসহ আটক ৮
ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে হতাহতের ঘটনায় নুরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক শামীম তালুকদার ও তাঁর ছেলে হেদায়েত তালুকদারসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহের অতুল চক্রবর্তী রোড এলাকায় শামীমের বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন ইকবাল হোসেন, আরমান হোসেন, আলমগীর হোসেন, আরশাদুল, পারভেজ ও আবদুল হমিদ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, জাকাতদাতা শামীম ও তাঁর ছেলেসহ আটজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে মামলা হয়নি। মামলার বিষয়ে পরে জানানো হবে।
আটক শামীম তালুকদারের ছেলে হেদায়েত এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে এভাবে জাকাত দিয়ে আসছি। আজ হঠাৎ করে এত মানুষ আসবে, ভাবতে পারিনি।’
জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, পুলিশ সুপার মঈনুল হক দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক জানান, সঠিক পরিচয় নির্ণয়ের পর প্রত্যেক মৃতের জন্য ১০ হাজার ও আহতদের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ময়মনসিংহের অতুল চক্রবর্তী রোড এলাকায় নুরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক শামীম তালুকদারের বাসার বাইরে জাকাত নিতে সহস্রাধিক নারী ভিড় করে। জাকাত দিতে গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হুড়োহুড়ি করে ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ২০ নারী। পরে শিশুসহ আরো চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
ওসি কামরুল ইসলাম জানান, পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।