ভৈরবে হিমু পরিবহনের বৃক্ষরোপণ

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরব শহরের পঞ্চবটী এলাকায় বলাকা আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুল চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ। ছবি : এনটিভি

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে ‘হিমু পরিবহন’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মহাসড়ক ও রেললইনের পাশে ফলদ ও বনজ জাতের এক হাজার চারা রোপণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

আজ শনিবার সকালে ভৈরব শহরের পঞ্চবটী এলাকায় বলাকা আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুল চত্বরে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু, আরেফিন জালাল রাজীব, সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সারোয়ার বাতেন, স্কুলটির অধ্যক্ষ ওয়াহিদ চৌধুরী সৈকতসহ অন্য শিক্ষকরা।

পৌর মেয়র আক্কাছ সংগঠনটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, সামাজিক কাজগুলোর মধ্যে বনায়ন হলো সবচেয়ে উত্তম কাজ। বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী গড়তে বনায়নের বিকল্প নেই। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, সাম্প্রতিককালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অবাধে বৃক্ষ নিধন এবং প্রয়োজনীয় বৃক্ষরোপণ না করা।

পরে হিমু পরিবহনের সমন্বয়ক সুজন বারীর নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা কমলপুর হাজি জনাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম, সহকারী শিক্ষক শিলা রানী চৌধুরী, আবদুর রশিদসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজেদের পকেটমানি এবং সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তায় মাসব্যাপী এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন হিমু পরিবহন ভৈরবের সমন্বয়ক সুজন বারী। তিনি বলেন, ‘আয়তন অনুযায়ী দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১২ শতাংশ। তাই প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানিসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। দেশব্যাপী এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আবাসভূমি ভৈরবকে সবুজময় করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা।’

হিমু পরিবহনের সদস্য ফুরকান, মাহমুদা তমা, মাহমুদুর রহমান উদয় ও প্রপা জামান জানান, হিমুদের দর্শন হলো, কারো ভালো না করতে পারো, মন্দ করো না। আমরা সমাজের চারপাশের মন্দকে পাশ কাটিয়ে একত্রে চলি একঝাঁক সমবয়সী তরুণ। চেষ্টা করি সারা বছরই কিছু না কিছু ভালো কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রাখতে। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি তারই ধারাবাহিক কাজ।