ত্রাণ নিয়ে অনিয়মকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না : মায়া

Looks like you've blocked notifications!
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

ত্রাণ নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, অনিয়মকারী কোনো দলের নেতা কিংবা উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যপারে সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম হিরুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাগুলোর জন্য এরই মধ্যে ছয় হাজার ১০০ টন চাল, এক কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। এর বাইরে গত মার্চ মাসে আগাম বন্যায় ফসলহানির কারণে সিলেট অঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ কার্ড দেওয়া হয়েছে, যা চলমান রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মায়া বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। একটি লোকও যাতে খাবারে কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

মন্ত্রী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান  জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সমন্বয় ও ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন ।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মেডিকেল টিমগুলোকে প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকার প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র নিয়মিত পরিদর্শন করে সেবাকার্য চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বন্যা প্লাবিত এলাকার টিউবওয়েলগুলো উঁচু করে পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান তিনি।

মায়া চৌধুরী বলেন, পানি বাহিত রোগ থেকে দুর্গত মানুষদের রক্ষা করতেই এ সব ব্যবস্থা নিতে হবে।