গৃহকর্মী নির্যাতন মামলা

সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ যাবজ্জীবন পাওয়া নদীর

Looks like you've blocked notifications!

শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে নির্যাতনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদী আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

আজ মঙ্গলবার রায় শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নদী।

নদী বলেন, ‘সাংবাদিকরাই আমাকে ফাঁসিয়েছে। তাদের জন্যই  আমার এ সাজা হলো। আমার চেয়ে আরো অনেকেই বড় অপরাধ করেছে। কিন্তু তাদের কোনো সাজা হয়নি।’

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার শিশু গৃহকর্মী আদুরিকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকা আদায় করে আদুরিকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ফাহমিদা আক্তার রিংকি এনটিভি অনলাইনকে জানান, নদীকে যাবজ্জীবন দিলেও মামলার অপর আসামি নদীর মা ইসরাত জাহানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে অর্ধমৃত অবস্থায় ৯ বছরের শিশু আদুরিকে উদ্ধার করা হয়। পল্লবীর বাসিন্দা নওরীন জাহান নদীর বাসায় কাজ করত আদুরি। সে সময় তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান গৃহকর্ত্রী নদী ও তাঁর মা ইসরাত জাহান।

নির্যাতনের একপর্যায়ে নদী ও তাঁর মা অসুস্থ আদুরিকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি ডাস্টবিনে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর আদুরির মামা মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নদী ও তাঁর মাকে আসামি করে নির্যাতনের একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্ত্রী নদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। তবে জামিন পান তাঁর মা ইসরাত জাহান।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গৃহকর্ত্রী নদী ও নদীর মা ইসরাত জাহানকে অভিযুক্ত করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কুরিন আক্তার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন।