ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না : শামীম

Looks like you've blocked notifications!

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির এবং জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। দেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, আছে, আগামীতেও থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমমণ্ডিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এনামুল হক এসব কথা বলেন। ’

এনামুল হক বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর বিদেশ ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। ব্যক্তিগত সফর দেখিয়ে লন্ডন গেলেও মূলত একাদশ নির্বাচনের আগে পরিবেশ ঘোলা করার ষড়যন্ত্র করতে তারেক রহমানের কাছে গেছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। কোনো বিদেশ ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসানোর মালিক দেশের জনগণ। ’

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যখনই নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসে তখনই একটি পক্ষ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যেন নষ্ট হয় সেজন্য উঠেপড়ে লাগে। কারণ দেশের গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকলে তাদের কদর থাকে না। অন্যদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করে। সরকারকে হটানোর নামে আবার আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু জনগণের বাধার মুখে শূন্য হাতে ঘরে ফিরে যায়। এবার নির্বাচন সামনে রেখে খালেদা জিয়া আবার নতুন ষড়যন্ত্রের ছক তৈরি করছে। কারণ ষড়যন্ত্র ছাড়া বিএনপি কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। অন্যদিকে আদালতকে ভয় পায় বলেই এক মামলার ১৫০দিন হাজিরা দেয়নি। বার বার সময় নেয়। কোর্ট বদলানোর আবেদন করেন। এখন মামলার ভয়ে এবং নতুন ষড়যন্ত্র করতে বিদেশ গেছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের জনগণ নিরাপদ থাকবে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কেউই নিরাপদ নয়।’

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখনই ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, তখনই বিজয় নিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছি। সর্বশেষ ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি।

নেত্রীকে মুক্ত করা এবং নির্বাচন আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নগুলো প্রচার করতে হবে। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে।’

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আগামী ২৫ জুলাই থেকে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে। এই কার্যক্রমে আওয়ামীমনা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এমন কোনো ব্যক্তি যেন বাদ না পড়ে সেজন্য দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ ও নারী ভোটাররা যেন বাদ না পড়ে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে। কারণ তরুণ ও নারী ভোটাররাই আমাদের উন্নয়নের জন্য আবার ক্ষমতায় আনবে।’

সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু ছাড়াও দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সি, চেয়ারম্যান আবু শামা, আমির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য মুন্সি কবির আহমেদ, সাইফুদ্দিন চেয়ারম্যান, মুজিবুর রহমান, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মুনিরুজ্জামান সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি অঞ্জন কুমার দে, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদেশ কুমার দে প্রমুখ।