চাঁদাবাজির অভিযোগ

ডিএমপির এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হান-উল-ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত ১২ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন শাহনা আক্তার নামের এক নারী। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আজ মামলা গ্রহণের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য দিন রাখেন।

বাদী শাহানা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বিচারক ডেমরা জোনের উপকমিশনারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষ্মীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কে এম এনায়েত হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের ‘সোর্স’ খোকন ও সুমন।

মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, বাদীর স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে দেন। ফরমান উল্লাহ যাত্রাবাড়ী থানার কিছু পুলিশ সদস্যকে মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে দেখতে পান। তিনি ৫ মে, ৮ জুন ও ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন।

বিষয়টি অবগত হয়ে মামলার এজাহারের নামভুক্তরা ফরমান উল্লাহকে ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলা হয়। অভিযোগ তুলে না নিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আরো বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ২১ জুন শাহনা আক্তার তাঁর স্বামীর সঙ্গে ওয়ারী থানাধীন রাজধানী সুপার মার্কেটে যান।

এ সময় একজন ফরমান উল্লাহকে সালাউদ্দিন স্পেশালাইজ হাসপাতালে ডেকে নেন। দীর্ঘ সময় ফরমান উল্লাহ ফিরে না আসায় শাহনা আক্তারও সেখানে যান। এ সময় তিনি দেখতে পান যে, আসামিরা ফরমান উল্লাহকে টেনে-হিঁছড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যাচ্ছে।

শাহনা আক্তার পুলিশের ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদকে বিষয়টি জানান। ডিসি ফরিদ তখন এসি ইফতেখারুল ইসলামকে ফোন করে ফরমান উল্লাহকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং শাহনা আক্তারকে থানায় গিয়ে তাঁর স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

শাহনা আক্তার থানায় গেলে এসি ইফতেখারুল ইসলাম ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করেন এবং নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই পরিচয় দিয়ে শাহনা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন, থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

শাহনা আক্তার তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। এরপর ইফতেখারুল ইসলাম তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দিতে ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। শাহনা আক্তার তাঁদের দুই লাখ টাকা দেন।