বঙ্গবন্ধুর ছবি ‘বিকৃতি’র মামলায় সকালে ইউএনওর জেল, দুপুরে জামিন
বঙ্গবন্ধুর ছবি ‘বিকৃতি’র মামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সকালে জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়ে দুপুরে জামিন দিয়েছেন বরিশালের একটি আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আগৈলঝাড়ার সাবেক ও বর্তমানে বরগুনা সদরের ইউএনও গাজী মো. সালমান তারিককে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন জেলার মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. আলী হোসাইন। প্রায় তিন ঘণ্টা জেলে থাকার পর দুপুর ২টায় আবার তাঁকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন একই বিচারক।
মামলার বাদী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজু জানান, আগৈলঝাড়ায় ইউএনওর দায়িত্ব পালনকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে ছাপানো নিমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি ছিল। বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি দেখে মর্মাহত হয়ে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে গত ৭ জুন মামলা করা হয়। একই হাকিমের আদালতে করা ওই মামলায় বিবাদী ইউএনওকে সমন দেওয়া হয়। আজ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় বেলা ১১টার দিকে ইউএনও গাজী মো. সালমান তারিককে সাময়িকভাবে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
ইউএনও গাজী মো. সালমান তারিক জানিয়েছেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত আমন্ত্রণপত্রটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করে প্রকাশ বা প্রচার করা হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আগৈলঝাড়া উপজেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই শিশুর আঁকা দুটি ছবি ব্যবহার করে আমন্ত্রণপত্রটি তৈরি করা হয়েছিল।