আট বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ, সম্পাদক বহাল তবিয়তে!

Looks like you've blocked notifications!
লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান রাজু। ছবি : সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মেনে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের আট বিবাহিত নেতা স্বেচ্ছায় সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

পদত্যাগ করা এই নেতাদের অভিযোগ, একই নির্দেশ অমান্য করে স্বপদে বহাল আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান রাজু। একই অভিযোগ সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলা দাশের বিরুদ্ধেও।

এ নিয়ে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অব্যাহতি নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা ও সংগঠনটির সাধারণ নেতাকর্মীরা।

গত ১২ জুলাই ছাত্রলীগের যেকোনো ইউনিটে পদধারী বিবাহিত নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এ জন্য তাঁরা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন।

ওই তিনদিনের আল্টিমেটামের মধ্যেই পদত্যাগ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, সহসভাপতি রাকিব হাসান, সহসভাপতি তৈয়ব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আজগর আলী এবং সিনিয়র সদস্য মো. পারভেজ ভূঁইয়া।

পদত্যাগ করা রেজাউল করিম বলেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা প্রিয় সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। তবে সাধারণ সম্পাদক রাজু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলা এই নির্দেশনা মানছেন না। আমার অনুরোধ থাকবে, যারা সংগঠনের নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

পদত্যাগ করা আরেক নেতা মো. হানিফ বলেন, ‘যারা ছাত্রলীগের নামধারী এবং দলের স্বার্থে নয়, ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক স্বার্থে ছাত্রলীগ করে তারাই দলের নির্দেশনা মানছে না। কারণ এরা ছাত্রলীগকে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে কারা আসল ছাত্রলীগ। আমার বিশ্বাস, সংগঠন এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’ 

এই বিষয়ে পদত্যাগ না করা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান রাজু বলেন, ‘বরকল উপজেলা সভাপতিও পদত্যাগ করেনি, তাই আমিও করিনি। আর জেলা সভাপতি সুজন ভাই ভারত থেকে ফোন করে আমাকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি আসলে সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়েছেন।’ এর বেশি কথা বলতে রাজি হননি রাজু।

এ ব্যাপারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলা দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

তবে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা যদি কেউ না মানে, তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদেরকে এই বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবে সেই অনুসারেই আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। লংগদুর বিষয়টি আমাদের কানে এসেছে, আমরা বিষয়টির খোঁজখবর রাখছি।’