পীড়াপীড়ি করে সাত কলেজের দায়িত্ব নেয় ঢাবি : শিক্ষামন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছবি : ফোকাস বাংলা

অনেকটা পীড়াপীড়ি করেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সাতটি কলেজের দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ওই সাত কলেজের বর্তমান সংকট খুব দ্রুত সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।   

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাবির অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

নাহিদ বলেন, ‘অনেক পীড়াপীড়ি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই সাতটি কলেজের দায়িত্ব নিয়েছে। আইনগত কারণে আমরা কিছু বলতে পারছি না। দেশের অন্যান্য কলেজের মতো এই সাতটি কলেজও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে চেয়ে ও পীড়াপীড়ি করে সাতটি কলেজের পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বক্তব্য ছিল, এই কলেজগুলো একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই ছিল।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। আইনগত কারণে তারা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ না। আমরাও কোনো কথা বলতে পারছি না। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ ব্যয় বহন করছে সরকার।’

শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এটার সুষ্ঠু সমাধান হবে।’

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সাতটি কলেজ। এগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত সেশনজট নিরসন, পরীক্ষা গ্রহণ, পর্যাপ্ত ক্লাস নিশ্চিতকরণ ও সাতটি কলেজের জন্য পৃথক ওয়েবসাইট চালু করার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। ওই আন্দোলনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় উল্টো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট সিদ্দিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর চোখে বিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন সহপাঠীরা।