যশোর বোর্ডে জিপিএ ৫ কমে অর্ধেকে, পাসের হারও কমেছে
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। একই সঙ্গে বোর্ডের চারটি কলেজে পাসের হার শূন্য। আজ রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ২ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪৭ শিক্ষার্থী। যেখানে গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন চার হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থী।
এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ জেলার ৫৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৯৫ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী ২২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৬৭ হাজার দুজন। পাসের হার গতবারের চেয়ে অনেক কম হলেও ফলাফল এবার অনেক ভালো হয়েছে বলে দাবি শিক্ষা বোর্ডের।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, শিক্ষা বোর্ডে গত বছর যে পরীক্ষার্থী ছিল, তার একটি বড় অংশ ছিল (প্রায় ৪০ হাজার) অনিয়মিত। তাঁরা এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন ও পাস করেছেন। যা গত বছরের মোট পাসের হারে প্রভাব ফেলে। এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কম।
জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এবারের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, ইংরেজি, গণিত, জীববিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ছেলেমেয়েরা ভালো করতে পারেনি। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এসব বিষয়ের একটিতে খারাপ করেছে, এ কারণে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা কমে গেছে।
চার কলেজে পাসের হার শূন্য
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের অধীন চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেহেরপুরের মড়কা জাগরণ কলেজ (পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুজন), মাগুরার বীরেন শিকদার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছয়জন), একই জেলার দক্ষিণ নোয়াপাড়া সম্মিলনী কলেজ (পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চারজন) ও ঝিনাইদহের ডিজিপিএল মডেল কলেজ (পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিনজন)।
পাসের হার শূন্য হওয়া এসব কলেজের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল এমন ছিল, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলোর পাঠদানের অনুমতি বন্ধ রয়েছে। এবারও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।