রাজশাহীতে মজুরির দাবিতে রেশম বোর্ডের শ্রমিকদের বিক্ষোভ
আর মাত্র কয়েকদিন পরই ঈদ। অথচ বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন রাজশাহীর পি-৩ ফার্মসহ মোট ১০টি ফার্মের দৈনন্দিন মজুরিভিত্তিক শতাধিক শ্রমিককের বেতন। এখন পর্যন্ত বেতন পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেশম উন্নয়ন বোর্ড।
বকেয়া বেতনের দাবিতে আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
রেশন উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আনিস-উল হক ভূইয়া জানান, বরাদ্দ না পাওয়ায় বছরের শুরুর দিকে বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এখন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন রাজশাহীর পি-৩ ফার্মসহ অন্য ফার্মের দৈনন্দিন মজুরি ভিত্তিক শতাধিক শ্রমিকের বেতন গত মে মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ঘাটতি বাজেট উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন দিলেও বোর্ডের মহাপরিচালক আনিস-উল হক ভূইয়া শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করছেন না। বোর্ডের সম্প্রসারণ বিভাগ নোটিশের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার সুপারিশ করলেও দেওয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের মজুরি। আনিস-উল হক ভূইয়া নানা অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা।
আজ বোর্ডের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রাজশাহী রেশম উন্নয়ন বোর্ড পি-৩ কেন্দ্রের শ্রমিক লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সহসভাপতি আজহারুল ইসলাম।
পরে শ্রমিকরা বোর্ডের মহাপরিচালক আনিস-উল হক ভূইয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের আশ্বাস দেন।
রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ সভাপতি আবু সেলিম বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নোটিশের মাধ্যমে অনুমোদিত বাজেট থেকে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি বোর্ডের মিটিংয়েও তোলা হয়েছিল। তবু বোর্ডের মহাপরিচালক বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করছেন না। ফলে শ্রমিকরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
শ্রমিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আনিস-উল হক ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম দিকে বরাদ্দ না আসায় শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকরা আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। তাদের মজুরি পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের মজুরি পরিশোধ করা হবে।’
ন্যাশনাল ফোল্ডারে ছবি রাখা আছে।