পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে ককটেল হামলা, সংঘর্ষ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমাবেশস্থলের পাশে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে চলে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে ঘটনার পর সেখানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেশজুড়ে জামায়াত-বিএনপির সহিংসতার প্রতিবাদে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মাগরিবের নামাজের আগে বক্তব্য শেষ করেন তিনি। বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই মঞ্চের পেছনে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে।
তবে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য শেষ করে মাগরিবের নামাজের পর স্কুলের একটি কক্ষে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে সমাবেশস্থলের পেছনে ককটেল হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওসি বলেন, প্রতিমন্ত্রী চলে যাওয়ার সেখানে পর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, এ হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা পুলিশকে খুঁজে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়ার্ড সভাপতি ফজলুল হক ও তাঁর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জনসভাস্থল ত্যাগ করার পর সেখানে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হামলার জন্য একপক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।