শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে খুন, দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শেরপুরে শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে তার দুলাভাইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন এই আদেশ দেন।

দণ্ডাদেশ পাওয়া রঞ্জিত দাস ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধোপাগোছনার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইমাম হোসেন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, রঞ্জিত দাসের বাড়ি ময়মনসিংহে হলেও বিয়ের পর থেকে তিনি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শ্যালিকা চানবালা রানী দাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তিনি। এ সময় আরেক শ্যালিকা সুমতি রানী দাস বাধা দিলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করেন রঞ্জিত। পরে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান চানবালা। রাতেই এলাকাবাসী রঞ্জিতকে ধরে পুলিশে দেয়।

মামলার নথি থেকে আরো জানা যায়, ওই ঘটনায় নিহত চানবালার বাবা ও রঞ্জিতের শ্বশুর মনেন্দ্র দাস বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার সব প্রক্রিয়া শেষে আজ রঞ্জিতকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারক।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শক্তিপদ দল।

গতকাল একই আদালতে আরেকটি হত্যা মামলায় আবেদ আলী নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের নিজাম উদ্দিন হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন। তবে দণ্ডাদেশ পাওয়া আবেদ আলী পলাতক।