প্রেমের পর অন্তঃসত্ত্বা, বিয়ে না করায় কিশোরীর আত্মহত্যা!

Looks like you've blocked notifications!

প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় সুমা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার সখিপুর থানার আনু সরকারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার পর থেকে প্রেমিক আফজাল হোসেন (২২) ও তাঁর পরিবার পলাতক।

নিহত সুমা আনু সরকারকান্দি গ্রামের নুরুল আমিন ফকিরের মেয়ে। সে দক্ষিণ সখিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহতের বড় বোন রুমা আক্তার ও সখিপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর ধরে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আফজাল হোসেনের সঙ্গে সুমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে সুমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে সুমার পরিবারের পক্ষ থেকে আফজাল ও তাঁর পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার প্রেমিক আফজাল গর্ভপাতের জন্য সুমাকে চাঁদপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সুমা ও তার পরিবারের সদস্যরা এর বিরোধিতা করে এবং বিয়ে করার জন্য প্রেমিক আফজালকে আবার চাপ দেয়। আফজাল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে বিয়ের বিষয়টি জানাবেন বলে আত্মগোপনে চলে যান। এর পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আজ সকালে নিজ বাড়ির একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

সুমার বোন রুমা আক্তার অভিযোগ করেন, সুমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আফজাল শারীরিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু পরে তিনি বিয়ে করতে নারাজ হন। এর জের ধরেই সুমা আত্মহত্যা করেছে। বোনের মৃত্যুতে আফজালের বিচার দাবি করেন রুমা আক্তার।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, সুমা অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এ ছাড়া সে আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই চিকিৎসক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।