হত্যা করে জঙ্গি সমস্যার সমাধান নয় : মনিরুল ইসলাম

Looks like you've blocked notifications!
জঙ্গিবাদ মোকাবিলা নিয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রেস্ট দিচ্ছে। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় ঈদ, দুর্গাপূজা ও জন্মাষ্টমীকে  সামনে রেখে বড় ধরনের কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের অপারেশন ক্যাপাসিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় শুধু গ্রেপ্তার, জেলহাজত বা হত্যাই সমাধান নয়। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিপথগামীদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কর্মমুখী শিক্ষা, বিতর্ক চর্চাসহ সৃজনশীল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।

আজ শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক ছায়াসংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদের একক কোনো সংঘ নেই। এটি অনেকগুলো কারণের সমষ্টি। জঙ্গিবাদ দমনে সরকার জিরো টলারেন্স ভূমিকায় রয়েছে। সেইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা যাতে কেউ না দিতে পারে সে বিষয়ে ইসলামী স্কলারদের আরো কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা সিরিয়ার বর্ডার নয়, তাহলে জঙ্গিবাদ কেন তৈরি হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন প্রাক্তন বিতার্কিক লেখক অধ্যাপক মোহাম্মদ রাইস, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক তাসমিয়াহ আফরিন মৌ, প্রাক্তন বিতার্কিক ড. এস এম মোরশেদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও গবেষক জাহিদ রহমান।