তারেক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা

আইনের ব্যত্যয় কি না, জানতে বরিশালে তদন্ত কমিটি

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালের আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও গাজী তারিক সালমন। ছবি : সংগৃহীত

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলা ও এর জের ধরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বরিশালে কাজ শুরু করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

আলোচিত এই ঘটনায় বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ও প্রাক্তন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউসসহ সংশ্লিষ্টদের কার কী ভূমিকা ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন এই কমিটির সদস্যরা। 

তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম বজলুল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া কমিটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন করে যুগ্ম সচিব সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

কমিটির সদস্যরা আজ সকাল ১০টায় বরিশাল সার্কিট হাউজে যান। সেখানে প্রত্যাহার করা মামলার বাদী সাময়িক বহিস্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু, গাজী তারিক সালমনের আইনজীবী মো. মোখলেসুর রহমান খান ও ঘটনার দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়িত্ব পালন করা ছয় পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। 

এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটি বরিশালে আসার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাঁকে আগেই জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আজ সার্কিট হাউজে উপস্থিত থাকতে অবগত করা হয়। তবে প্রয়োজন মনে করলে তদন্ত কমিটি এর বাইরেও কারো সঙ্গে কথা বলতে পারে বলে জানান জেলা প্রশাসক। 

এর আগে গত ১ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তারেক সালমনের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন গাজী তারিক সালমন।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর 'বিকৃত ছবি' ছাপানোর অভিযোগ এনে গত ৭ জুন আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন ওই সময়ের জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। বরিশাল সিএমএম আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ  দেন।

আদালতে হাজির হলে তারিক সালমনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক মো. আলী হোসাইন। দুই ঘণ্টা পর ওই মামলায় বরিশাল সিএমএম আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়েছিল তারিক সালমনকে। 

অবশ্য এ বিষয়ে সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজুর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে তাঁকে টেলিফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন তিনি রিসিভ করেনি।