‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ গণতন্ত্রশূন্য হয়’

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এনটিভির পুরোনো ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই গণতন্ত্রকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ গণতন্ত্রশূন্য হয় এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়। কারণ আওয়ামী লীগের জন্ম ও লালন-পালন হয়েছে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার গবেষণাগারে।’

আজ শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর ৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী অপশাসনের কারণেই দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর অকালমৃত্যু হয়েছে। আরাফাত রহমান কোকোর মা ও দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বর্তমান জালিম সরকার যখন চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে পুলিশ দিয়ে গরম পানি ও মরিচের গুঁড়া স্প্রে, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তখন আরাফাত রহমান কোকো এই সংবাদ শুনে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন ও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মূলত অবরুদ্ধ রেখে মায়ের ওপর বর্তমান সরকারের অমানবিক নির্যাতনের খবরেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে আরাফাত রহমান কোকোর অকালমৃত্যু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই জিয়া পরিবারের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহতা নেমে আসে।’  

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রে স্বীকৃত মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নাগরিকের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকার হরণ করে একের পর এক সমাজে নানা ধরনের দেয়াল তৈরি করে এক দূষিত রাজনৈতিক পরিবেশ জারি রেখেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, শামসুজ্জামান সুরুজ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।