স্বামীর খোঁজে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা!

Looks like you've blocked notifications!

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্বামীর খোঁজে ঝালকাঠি এসে এক অন্তঃসত্ত্বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম লিজা আক্তার রূপা (২১)।

গতকাল শনিবার সকালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার দারাখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অনাগত সন্তান (ভ্রুণ) নষ্ট হয়েছে কি না, তা জানতে আজ রোবববার পরীক্ষা করতে বলেছেন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ঈশিতা দাস।

লিজা আক্তার রূপা অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দড়িগোয়ালি গ্রামে। নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে পোশাক কারখানায় কাজ করেন তিনি।

ঢাকার মহাখালীর একটি রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি রাজু হোসেন দেড় বছর আগে তাঁকে বিয়ে করেন। কয়েকদিন আগে রাজু হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকার বাসা থেকে তাঁকে কিছু না বলেই বের হয়ে যান। এরপর থেকে রাজুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাঁর স্বামী ঝালকাঠির দারাখানা গ্রামের বাড়িতে আছেন। ঢাকা থেকে স্বামীর খোঁজে ঝালকাঠি বাড়িতে এলে শাশুড়ি শাহানাজ বেগম, খালা শাশুড়ি ছালু বেগম, খালাতো দেবর সোহেল খলিফা ও ননদ শারমিন তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বের করেন দেন। বাড়ির উঠানে কাদার মধ্যে ফেলে তাঁরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁকে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা বলে তাঁদের পা জড়িয়ে ধরলেও রক্ষা পাননি। এ সময় বাড়িতে তাঁর স্বামী ছিলেন না। 

ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ জানান, গৃহবধূ থানায় এসেছিলেন। তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়েছে। মৌখিকভাবে তাঁর অভিযোগ শুনেছেন তাঁরা। সুস্থ হওয়ার পর তিনি আইনি সহযোগিতা নিতে চাইলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
 
রূপার শাশুড়ি শাহনাজ বেগম মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ছেলের বিয়ে হইছে কি না, তা আমরা জানি না। তাকে কেউ মারধর করেনি।’

জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ঈশিতা দাস বলেন, অন্তঃসত্ত্বার গর্ভের ভ্রুণের কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে লোকবল সংকটের কারণে বাইরে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।