হিলি বন্দরে আটকে আছে ১৩ হাজার টন চাল

Looks like you've blocked notifications!

দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দরে গত ১৫ দিন ধরে খালাসের অপেক্ষায় আছে ১৩ হাজার টন চাল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাল আমদানিতে শুল্ক কর কমছে; এ আশায় খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন তাঁরা।

এসব চাল আনা সাড়ে চারশো ট্রাক এখন অপেক্ষা করছে হিলি  স্থলবন্দরে।  

আজ বুধবার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানান, চাল আমদানিতে থাকা শুল্ককর ১০ শতাংশ থেকে দুই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি ট্রাক থেকে চাল খালাস করেন। তবে আজকের এই ঘোষনার পর খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।

বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, শুল্ককর কমানোর আগে আটকে থাকা চাল খালাস করা হলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই শুল্ককর কমলে ছাড়া হবে এ সব চাল।

আমদানিকারক ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ‘লাভ না হলেও সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এই বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন। কিন্তু লোকসান করে তো আর আমদানি করা যাবে না? তাই ১৪-১৫ দিন ধরে ব্যবসায়ীরা শুল্কহ্রাসের আশায় অপেক্ষায় আছেন। এখনই শুল্ককর কমানোর আদেশ কাস্টমসে আসলে বন্দর থেকে চাল খালাস করে নিবেন তাঁরা।’

স্থানীয় কাস্টমস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুন এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল আমদানিতে বিদ্যমান থাকা আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তিন শতাংশ পুরোপুরি তুলে নেয়। ফলে তখন থেকে ব্যবসায়ীরা ১০শতাংশ শুল্ককর দিয়ে চাল আমদানি করছেন।

বন্দরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার শুধু একের পর এক ঘোষণা দিয়ে ব্যবসায়ীদের আশায় রাখছেন। কার্যত কোনো ঘোষণা বাস্তবায়ন করছেন না। আমরা চাই সরকার আজ চাল আমদানির উপর থেকে ১০ শতাংশ থেকে দুই শতাংশ করার যে ঘোষণা দিয়েছেন তার দ্রুত বাস্তবায়ন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এতে করে সাধারণ মানুষেরা ৩৫ টাকার নিচে চাল কিনতে পারবে এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাবে। না হলে চালের লাগামহীন মুল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না এবং এই বর্ষা মৌসুমে আরো দাম বৃদ্ধি পাবে।’

বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের ব্যবস্থাপক অসিত কুমার বলেন, ‘গত ১৪-১৫ দিন ধরে বন্দরের পানামা পোর্টের সাড়ে চারশো ভারতীয় ট্রাকে সাড়ে ১৩ হাজার টন আমদানি করা চাল খালাসের অপেক্ষায় আটকে আছে। শুনেছি সরকার চালের উপর বিদ্যমান থাকা ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করবে।এমন আশায় ব্যবসায়ীরা চাল খালাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছন।’

বন্দরের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট মো. ফকর উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি চাল আমদানির উপর থেকে আট শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। বর্তমানে ১০ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে অল্প পরিমাণে চাল খালাস করে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’