ব্যক্তিস্বার্থে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেন খালেদা জিয়া : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আন্তর্জাতিক সূফী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি-২০১৫, শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে তোলা। ছবি : ইয়াসিন কবির জয়, ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ব্যক্তিস্বার্থের জন্য হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেন। চলমান সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী এমন অবস্থা তৈরি করতে চান যাতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলা আর চলতে না পারে।

আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক সুফি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের আয়োজনে দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ভারত, জার্মানি, ইংল্যান্ড, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী চিন্তাবিদরা অংশ নেন। 

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ সহাবস্থান করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দু-একটি রাজনৈতিক দল সেই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিরীহ কিছু মানুষ না বুঝে এসব সহিংসতার সঙ্গে জড়িত হয়েছে।

যারা বোঝে না তাদের বুঝিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য পীর-মাশায়েখ ও আলেমদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি-জামায়াত মিলে যে এই হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, কিসের জন্য চালাচ্ছে?

আপনারা জানেন যে এতিমের জন্য বিদেশ থেকে টাকা এসেছে সাহায্যের। সেই টাকা তিনি জিয়া অরফানেজের নামে নিজের নামে নিয়ে নিয়েছেন। সেই টাকার একটি টাকাও এতিমদের দেওয়া হয়নি এবং এতিমের টাকা দুর্নীতি করার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার বিচার শুরু হয়েছে। উনি সেই বিচারের মুখোমুখি হতে ভয় পান। কারণ তার ভেতরে যদি সততা থাকত, আত্মবিশ্বাস থাকত তাহলে ওই বিচারের তিনি মুখোমুখি হতেন। কিন্তু তা তিনি হবেন না এবং তিনি মানুষ মেরে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান যে এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে, এদেশের মানুষ ধ্বংস হবে। কিন্তু উনি ওনার চোরা টাকাটা রক্ষা করবেন। এটাই ওনার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। সে জন্যই আজকে উনি এভাবে পুড়িয়ে মারছেন।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত ইসলামকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাদের ইসলামের প্রতি কোনো সম্মান নেই। যদি থাকত তাহলে কেন বিশ্ব ইজতেমা ও ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর সময়ও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিল।’

তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মহাসচিব এম এ আওয়াল এমপি, ফিলিস্তিনের কূটনীতিক শায়ের মোহাম্মদ প্রমুখ।