আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত সোনা কেন ফেরত নয়
শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত সোনা কেন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া নোটিশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে করা পাঁচটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদ ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী জিনাত হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন রিপন।
গত ২৫ জুলাই মালামাল জব্দের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করেন দিলদার আহমেদসহ তিন ভাই।
বনানীতে হোটেল রেইনট্রিতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর আপন জুয়েলার্সের সোনার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে তদন্ত শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
শুল্ক গোয়েন্দারা গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালিয়ে গুলশানের ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। জব্দ করা সোনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের নোটিশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। পরে সময় নিয়ে আর শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে যায়নি আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ।