এখনকার উন্নয়ন বিএনপি স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না : সেতুমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সময়ে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, বিএনপি সেই উন্নয়নের কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে দলটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে লাফালাফি করছে। তাদের উদ্দেশ্য এটাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। আমাদের কথা বলার অবস্থা আছে, কিন্তু বিএনপির নেই। দেশে যে উন্নয়ন আমরা করেছি, বিএনপি স্বপ্নেও তা ভাবতে পারবে না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী খাল, ক্লোজার, বামনী নদীসহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, ব্যাপক রাস্তাঘাটের উন্নয়ন শেখ হাসিনা সরকারে আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সোনাপুর-জোরারগঞ্জ সড়ক, বসুরহাট-দাগনভূঁঞা সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। এ উন্নয়নের ফলে এলাকায় অনেক বেকার সমস্যা সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি তাঁর বাড়ির দরজার রাস্তা ও বাড়ির পাশের স্কুলের উন্নয়ন করতে পারেননি। এটা শেখ হাসিনার সরকার করেছে। মওদুদ আহমদ মাঝে মাঝে এলাকায় এসে ছুতা ধরে নানা ধরনের টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি ভোট চাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি।’

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কোম্পানীগঞ্জে আমাদের সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীকে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তাদের পুকুরের মাছ, গরু এবং দোকান ভাঙচুর ও লুট করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশকে কথায় কথায় ব্যবহার করা সবার অন্যায়। পুলিশকে দিয়ে কেন বিরোধী দলকে দমন করব। আমাদের উন্নয়ন আমাদের ভোট। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, স্বাধীনতা ব্যাকাংর্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, চরহাজারী ইউপির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা, চরপার্বতী ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুন্না।