কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতিসহ ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আজ মঙ্গলবার পটুয়াখালী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা ছাত্রদল। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশ ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালীর জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম এস এম তারেক শামসের আদালতে রাজীবসহ ছয়জনের জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে দেন বিচারক।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম এবং মজিবর রহমান টোটন জানান, গতকাল সোমবার আদালতের নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর আসামিদের আদালতে নেওয়ার কারণে জামিন আবেদন করা যায়নি। আজ জামিন শুনানির দিন ধার্য করে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ তাঁদের আদালতে না নেওয়া হলেও দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১০ আগস্ট।

এদিকে রাজীব আহসানসহ ছয়জনের মুক্তির দাবিতে শহরে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদল। এ ছাড়া শুনানি চলাকালে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমায় দলীয় নেতা-কর্মীরা।

পটুয়াখালীর দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মামলার বাদী আজম খান ফারুকী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ আটক ছয়জনকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। গত রোববার রাতে দুমকি থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওসি নিজেই। বাদী জানান, ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১)-এর ৯ (ক) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। 

ওসি আরো জানান, রাজীব আহসানের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো, পুলিশের ওপর হামলা, পেট্রল বোমায় নিহতের ঘটনায় ঢাকার পল্টন থানায় ১৭টি, মতিঝিল থানায় পাঁচটি, শাহবাগ থানায় বকশিবাজারে সংঘটিত ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে।
 
রোববার রাতে গোপনে খবর পেয়ে পটুয়াখালী বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ ছয়জনকে আটক করে দুমকি থানা পুলিশ। তাঁদের বহনকারী একটি প্রাইভেট কার থেকে পুলিশ ৪৫টি ইয়াবা বড়ি ও মদ উদ্ধার করে বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে আটককৃতরা এই মামলাকে পুলিশের সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনও ছাত্রদলের সভাপতিকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।