আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী
মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রুস্তম আলী ৫৫ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রুস্তম আলীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলী আহমেদ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯১ ভোট।
রুস্তম আলী দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। গত ২২ এপ্রিল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মারা যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু নাসির বাবলু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৬৩ ভোট, এনামুল হক হিরক পেয়েছেন ৫৩২ ও জাহাঙ্গীর আলম ৬৪ ভোট পেয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমেদ পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি পলাতক। আলী আহমেদের স্ত্রী ও জেলা জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক আহ্বায়ক শামসুন নাহার অভিযোগ করেন, রুস্তম আলীর সমর্থকরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছে। শামসুন নাহার এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও মারধর করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া দুপুরে মাগুরার বামনডাঙ্গা ভোটকেন্দ্রের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে পেটানোর অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচন চলাকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সদর উপজেলার হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজরাপুর সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, আবালপুরসহ বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলী আহমেদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু নাসির বাবলুর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি রুস্তম আলীর সমর্থকরা।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ। তিনি আরো বলেন, ‘মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর (আলী আহমেদ) কাছ কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা তা খতিয়ে দেখব।’
রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ রবিউল ইসলাম জানান, ১৩টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলা পরিষদে মোট দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৯ জন ভোটার রয়েছে।