মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় যুবলীগকর্মী নিহত

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরা সদর উপজেলা উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নান্নু মোল্লা নামে এক যুবলীগকর্মী নিহত হন। পরে পুলিশ তাঁর লাশ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ছবি : এনটিভি

মাগুরায় সদর উপজেলা উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৫ জন। বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শত্রুজিৎপুর রূপদাহ গ্রামে উপনির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের রুস্তম আলীর পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত আওয়ামী লীগ নেতা ও  বিদ্রোহী প্রার্থী আবু নাসির বাবলুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত নান্নু মোল্লা (৪০) ওই এলাকার কালাম মোল্ল্যার ছেলে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আবু নাসির বাবলুর সমর্থক।

মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদর্শন কুমার রায় এনটিভি অনলাইনকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার শত্রুজিৎপুর রূপদাহ গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নান্নু মোল্লা নামের একজন নিহত হয়েছেন। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। সাত-আটজনকে আটক করার পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি সংঘর্ষে আহত আছাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর সমর্থক রূপদাহ গ্রামের লালন মেম্বার ও সালাম হাজির লোকজনের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থী আবু নাসির বাবলুর সমর্থক কালাম মোল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে যুবলীগকর্মী নান্নু মোল্লাকে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে।

সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুস্তম আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাসির বাবলু এ ব্যাপারে পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুস্তম আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

অপরদিকে আবু নাসির বাবলু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রুস্তম আলীর লোকজন আমার সমর্থক নান্নু মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।